মোঃ রিয়াদ গাজী | ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: বিগত এক মাসে নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০টির মতো হালের বলদ এবং গাভী চুরি হয়েছে। করোনার বিপদ কাটিয়ে উঠতে কৃষকরা যখন নতুন করে বাচার লড়াই করছে তখনই নলছিটি বাসীর মড়ার উপর খড়ার ঘাঁ গরু চুরি উপদ্রব বাড়ছে।

নলছিটি উপজেলার ৩ নং কুলকাঠী ইউনিয়নের সরই গ্রামের চৌধুরী বাড়ির অমল রায় চৌধুরীর (প্রধান শিক্ষক তিমিরকাঠী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়) দু’টি গরু চুরি হয়েছে ।

গত ১সেপ্টেম্বর রাতের যে কোনো সময় চোরেরা গোয়াল ঘরের তালা কেটে দুইটি (গাভীন) গাভী চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নলছিটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত দুই /তিন দিন আগে নলছিটির সিদ্ধকাঠী ইউনিয়নের তেওলা গ্রামের এক চাষীর চারটি হালের গরু ও গাভী চুরি হয়। গরীব কৃষকের ঐ চারটি হালের বলদ ছিল শেষ সম্বল। কোথাও গরু দেখে কারও সন্দেহ হলে নীচের মোবাইল নম্বরে জানাতে অনুরোধ

সূত্র মতে নলছিটিতে গরু চুরি একটি বহু পুড়োনো ব্যাধি। আগে সংঘবদ্ধ চোরের দলেরা গ্রামের পর গ্রাম সাফ করে দিতো। স্বাধীনতার আগে দক্ষিনের বেশ কয়েকটি গ্রামে চোরের উপদ্রবে গ্রামবাসী সম্মিলিত ভাবে ঠেকানোর জন্য রাত জেগে গ্রাম পাহাড়া দিতো।

যুদ্ধের সময় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মানপয়সা, ফয়রা, লাঙ্গলী এলাকায় গুলি করে কয়েকজন চোরকে মেরে ফেললে নলছিটিতে চোরের উপদ্রব অনেক কমে আসে। আশির দশকে আবারো চোরের উপদ্রব হলে সর্বহারা পার্টির হামলায় কয়েকজন চোর মারা গেলে চোরের উপদ্রব কমে আসে।

কুখ্যাত এই পেশা আবার ফিরে আসায় নলছিটির নাগরিক সমাজ উদ্ব্যেগ জানিয়েছে। এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বল্লে তিনি জানান গরু চুরির দু একটি অভিযোগ থারা পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদস্ত করে দেখছেন।